Pages

20 January 2014

Top 05 Smart Phone in 2013

আমরা 2013 সালে প্রযুক্তিকে অনেক পরিবর্তন হতে দেখেছি। প্রযুক্তি আনেক নতুন নতুন আবিষ্কার আমাদের দার প্রান্তে এসেছে। তারঁ মধ্যে সারা জাগানো ছিল মোবাইল। তাই আমি আজকে আপনাদের কাছে নিয়ে এলাম 2013 সালে সারা জাগানো কয়েকটি মোবাইল ফোন এবং তার ফিউচার।
০১. Iphone5s112
মোবাইলের কথা বলতে গেলে প্রথমে চলে আসে যার নাম সেটা হলো আইফোন . 2013 সালে তার ব্যত্রিক্রম হয়নি 2013 সালের জনপ্রিয় মোবাইলের মধ্যে অন্যতম একটি মোবাইল হল আইফোন ৫ এস। ১১২ গ্রামের আইফোন ৫এস-এ ব্যবহার করতে হবে ন্যানো সিম। ১৬, ৩২ ও ৬৪ গিগাবাইট মেমোরির ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ৭.০। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপল এ৭ চিপসেট, ১৩০০ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর প্রসেসর এবং পাওয়ারভিআর জি৬৪৩০ গ্রাফিকস প্রসেসর। ৪ ইঞ্চি কর্নিং গরিলা গ্লাস পর্দার স্মার্টফোনটির টাচস্ক্রিন আইপিএস এলসিডি, যা ফিঙ্গারপ্রিন্ট মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে সাফারি ব্রাউজার। ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশ, অটো ফোকাস, ফেইস ডিটেকশনযুক্ত মূল ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। ১৫৭০ অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম ব্যাটারির টকটাইম ১০ ঘণ্টা এবং স্ট্যান্ডবাই টাইম ১০ দিন। ধূসর, সাদা, তামাটে ও সোনালি রঙের ফোনটিতে রয়েছে ব্লু-টুথ ৪.০, ওয়াই-ফাই ও রেডিও ব্যবহারের সুবিধা।
02. SAMSUNG GLAXY NOTE 3
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৩৫.৭ ইঞ্চি আই পপিং অ্যামোলেড ক্যাপটিভ টাচস্ক্রিন পর্দার ১০৮০ পিক্সিলের 'স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৩' আকারে বড় হলেও অনেক চিকন ও হালকা। ওজন মাত্র ১৬৮ গ্রাম। অ্যানড্রয়েড ৪.৩ জেলিবিনচালিত এ ফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৩২ গিগাবাইট হলেও ২৪.১৫ গিগাবাইট উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ব্যবহারকারীর জন্য। বাকি জায়গা স্যামসাংয়ের নিজস্ব অ্যাপসের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ এমএসএম ৮৯৭৪ চিপসেট, ২৩০০ মেগাহার্জের কোয়াড কোর প্রসেসর এবং অ্যাড্রিনো ৩৩০ গ্রাফিকস প্রসেসর। এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় রয়েছে ডুয়ালশট, এইচডি ভিডিও ও ইমেজ টেকনোলজি, টাচ ফোকাস, স্মাইল ও ফেইস ডিটেকশন এবং প্যানোরোমা সুবিধা। লিথিয়াম আয়ন ৩২০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিতে ২৫ ঘণ্টা টকটাইম, ২৫ ঘণ্টার স্টান্ডবাই টাইম সুবিধা আছে। আছে ব্লু-টুথ ৪.০, ওয়াই-ফাই, ৩.০ ইউএসবিও।
03. SONY Xperia Z1
১৭০ গ্রাম ওজনের 'সনি এক্সপিরিয়া জেড১'-এ রয়েছে ধুলাবালি ও পানি প্রতিরোধক ব্যবস্থা। পানির ১ মিটার নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত এতে পানি প্রতিরোধক ব্যবস্থা কাজ করবে। অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড ৪.২ জেলিবিনচালিত ফোনটিতে আছে ৫ ইঞ্চি ট্রিলুমিনাস পর্দা ও ১০৮০ বাই ১৯২০ পিক্সেলের টিএফটি ক্যাপটিভ। এর ২০.৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় অটো ফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ, ফেইস ডিটেকশন, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন এবং প্যানোরোমা সুবিধা আছে। এর অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১৬ গিগাবাইট হলেও মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত। ৩০০০ অ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির কল্যাণে গান শোনা যাবে একটানা ১১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। সাদা, কালো ও গোলাপি রঙের ফোনটিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লু-টুথ, মাইক্রোইউএসবি, এফএম রেডিওসহ অনেক সুবিধা।
04. HTC-1MINI
৭২০ বাই ১২৮০ পিক্সেলের ৪.৩ ইঞ্চি মাল্টিটাচ টাচস্ক্রিন পর্দার ১২২ গ্রাম ওজনের অ্যালুমিনিয়াম বডির ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যানড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর ৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ ও অটো ফোকাস সুবিধা। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ এবং ডুয়াল কোর ক্রেইট ১৪০ মেগাহার্জ এবং গ্রাফিকস প্রসেসর অ্যাড্রিনো ৩০৫ চালিত স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১ গিগাবাইট র‌্যাম, জিপিএস, ব্লু-টুথ ৪.০, ওয়াই-ফাই, মাইক্রোইউএসবি ২.০ সুবিধা। এর অভ্যন্তরীণ মেমোরি ১৬ গিগাবাইট। ১৮০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির টকটাইম ২০.৭২ ঘণ্টা এবং স্ট্যান্ডবাই ২০.৮ দিন। এইচটিসি ফোনগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে কমদামি।
05. HTC-1
অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড ৪.৩ জেলিবিনচালিত ১৪৩ গ্রামের এইচটিসির ফোনটিতে রয়েছে ১০৮০ বাই ১৯২০ পিক্সেলের ৪.৭ ইঞ্চির সুপার এলসিডি ৩ কর্নিং গরিলা গ্লাস পর্দা, যা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সমর্থন করে। রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং ২.১ মেগাপিক্সেল ফ্র্রন্ট ক্যামেরা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম এপিকিউ ৮০৬৪ স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ চিপসেট, কোয়াড কোর ১.৭ গিগাহার্জ ক্রেইট ৩০০ এবং অ্যাড্রিনো ৩০০ গ্রাফিকস প্রসেসর। তথ্য ধারণের জন্য ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ ৩২ গিগাবাইটের মেমোরি কার্ড। ২৩০০ অ্যাম্পিয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে কথা বলা যায় টানা ১৮ ঘণ্টা। কালো, তামাটে, লাল, নীল ও সোনালি রঙের ফোনটিতে অন্যান্য সুবিধার মধ্যে আছে ব্লু-টুথ ৪.০, ইনফ্রারেড, আরডিএসসহ রেডিও।

No comments:

Post a Comment